Saturday, June 15, 2019

আফ্রোমার্কিন কবি আমিরি বারাকা-র কবিতা ( ১৯৩৪ - ২০১৪ ) । অনুবাদ : মলয় রায়চৌধুরী

আফ্রোমার্কিন কবি আমিরি বারাকা-র কবিতা ( ১৯৩৪ - ২০১৪ )
ধর্মান্তরিত হবার আগের নাম লেরয় জোনস
অনুবাদ : মলয় রায়চৌধুরী
কেউ আমেরিকা কে উড়িয়ে দিয়েছে
ওরা বলছে কোনো সন্ত্রাসবাদী
কোনো বর্বর
এক রব,
আফগানিস্তানের
আমাদের মার্কিন সন্ত্রাসবাদী নয়
কু ক্লাক্স ক্ল্যান বা ন্যাড়ামাথা ফ্যাসিবাদী নয়
কিংবা যারা নিগ্রোদের উড়িয়ে দেয়
গির্জা, কিংবা ফাঁসির মঞ্চে পুনর্জন্ম নেয়
ট্রেন্ট লট নয়
কিংবা ডেভিড ডিউক কিংবা গুইলিয়ানি
কিংবা শাণ্ডলার, হেলমস অবসর নিয়ে
এটা ওরা নয়
পোশাকের গনোরিয়া
শাদা কাপড়ের রোগ
যা কালো মানুষদের খুন করেছে
যুক্তি আর সুবুদ্ধিকে ভয় দেখিয়েছে
বেশিরভাগ মানুষকে, যেমন তাদের ইচ্ছে
ওরা বলে ( কারা বলে ? )
বলার কাজ কারা করে
কাদের টাকাকড়ি দেয়
কারা মিথ্যা কথা বলে
কারা ছদ্মবেশে
কাদের ক্রীতদাস ছিল
কারা টাকাকড়ি গেঁড়িয়েছে
কারা মোটা হয়েছে বাগানের চাষে
কারা রেডইনডিয়ানদের গণহত্যা করেছে
কারা চেষ্টা করেছে কালো দেশকে নষ্ট করতে
কারা ওয়াল স্ট্রিটে থাকে
প্রথম বাগান-চাষ
কারা তোমার মাথা কেটেছে
কারা তোমার মাকে ধর্ষণ করেছে
কারা তোমার বাবাকে পিটিয়ে মেরেছে
কারা আলকাৎরা পেয়েছে, কারা পালক পেয়েছে
কাদের দেশলাই ছিল, কারা আগুন ধরিয়েছিল
কারা খুন করেছে আর ভাড়া করেছে
কারা বলে তারা ঈশ্বর আর তবু শয়তান হয়
কারা একমাত্র বড়ো
কারা একমাত্র ভালো
কাদের দেখতে যিশুর মতন

কারা গড়েছে সবকিছু
কারা সবচেয়ে চতুর
কারা সবচেয়ে বড়ো
কারা সবচেয়ে ধনী
কারা বলে তোমরা কুৎসিত আর তাদের দেখতে সবচেয়ে সুন্দর
কারা শিল্পের সংজ্ঞা বানায়
কারা বিজ্ঞানের সংজ্ঞা বানায়
কারা বোমা তৈরি করেছে
কারা বন্দুক তৈরি করেছে
কারা ক্রীতদাস কিনেছে, আর তাদের বেচেছে
কারা তাদের নাম দিয়েছে
কে বলেছে ডাহমার পাগল ছিল না

কারা ? কারা ? কারা ?

কারা পুয়ের্টো রিকো চুরি করেছে
কারা রেডইনডিয়ান, ফিলিপিনো, ম্যানহ্যাটন চুরি করেছে
অস্ট্রেলিয়া আর হেবরাইডদের
কারা চীনাদের ওপর আফিম চাপিয়েছিল
কারা অট্টালিকাগুলোর মালিক
কাদের আছে বৈভব
কারা তোমাদের মজার মনে করে
কারা তোমাকে জেলে পুরেছে
কারা সংবাদপত্রের মালিক
কারা ছিল ক্রীতদাস জাহাজের মালিক
কারা সেনাবাহিনী চালায়
কে নকল রাষ্ট্রপতি
কে শাসক
কে ব্যাঙ্কের মালিক

কে ? কে ? কে ?

কারা খনির মালিক
কারা তোমার মগজ বিগড়ে দেয়
কারা রুটির মালিক
কারা শান্তি চায়
কারা যুদ্ধ চায় বলে তুমি মনে করো
কারা পেট্রলের মালিক
কারা খাটাখাটি করে না
কারা জমির মালিক
কারা নিগ্রো নয়
কারা এতো বড়ো যে তাদের চেয়ে বড়ো নেই
কারা শহরের মালিক
কারা বাতাসের মালিক
কারা জলের মালিক
কারা শস্যভাঁড়ারের মালিক
কারা ডাকাতি আর চুরি আর প্রতারণা আর খুন করে
আর মিথ্যাকে সত্য করে তোলে
কারা তোমায় বলে অদ্ভুত
কারা সবচেয়ে বড়ো বাড়িতে থাকে
কারা সবচেয়ে বড়ো অপরাধ করে
কারা যেকোনো সময়ে ছুটিতে যায়
কারা সবচেয়ে বেশি নিগ্রোদের খুন করেছে
কারা সবচেয়ে বেশি ইহুদিকে খুন করেছে
কারা সবচেয়ে বেশি ইতালিয়কে খুন করেছে
কারা সবচেয়ে বেশি আইরিশদের খুন করেছে
কারা সবচেয়ে বেশি আফ্রিকানদের খুন করেছে
কারা সবচেয়ে বেশি জাপানিদের খুন করেছে
কারা সবচেয়ে বেশি ল্যাটিনোদের খুন করেছে

কারা ? কারা ? কারা ?

কারা সমুদ্রের মালিক
কারা বিমানগুলোর মালিক
কারা মলগুলোর মালিক
কারা টেলিভিশনের মালিক
কারা রেডিওর মালিক
কারা এমনকিছুর মালিক যার মালিকানা এখনও জানা যায়নি
কারা মালিকের মালিক যারা প্রকৃত মালিক নয়
কারা শহরতলির মালিক
কারা শহরগুলোকে চুষে খায়
কারা আইন বানায়
কারা বুশকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছে
কারা মনে করে কনফিডারেট পতাকা ওড়া উচিত
কারা গণতন্ত্র আওড়ায় আর মিথ্যা কথা বলে
কারা দৈববাণীতে বর্ণিত পশু
কারা ৬৬৬
কারা সবজান্তা আর কারা নির্ণয় নিয়েছে
যিশুকে ক্রুশকাঠে বিঁধতে
বাস্তব জগতে শয়তান কারা
কারা আরমেনীয় গণহত্যা থেকে ধনী হয়ে গেল
কারা সবচেয়ে বড়ো সন্ত্রাসবাদী
কারা বাইবেল বদলেছে
কারা সবচেয়ে বেশি মানুষ মেরেছে
কারা সবচেয়ে বেশি শয়তানি করে
কারা টিকে থাকার বিষয়ে চিন্তা করে না
কারা উপনিবেশের মালিক
কারা সবচেয়ে বেশি জমি চুরি করেচে
কারা পৃথিবী শাসন করে
কারো ভালো কথা বলে আর খারাপ কাজ করে
কারা সবচেয়ে বড়ো জল্লাদ

কারা ? কারা ? কারা ?

কারা পেট্রলের মালিক
কারা আরও পেট্রল চায়
কারা তোমায় বলেছে যা ভাবছ পরে তা মিথ্যা

কারা ? কারা? কারা ?

কারা বিন লাদেনকে খুঁজে পেলো, বোধহয় শয়তান
কারা সিআইএকে মাইনে দেয়
কারা জানতো বোমা ফাটতে চলেছে
কারা জানতো কেন সন্ত্রাসবাদীরা
ফ্লোরিডা আর স্যান ডিয়েগোতে প্লেন চালাতে শিখলো
কারা জানে কেন পাঁচজন ইজরায়েলি বিস্ফোরণের ফিল্ম তুলছিল
আর ইয়ার্কি করছিল
কাদের চাই জীবাশ্মের তেল যখন সূর্য কোথাও যাচ্ছে না
কারা ক্রেডিট কার্ড বানায়
কারা সবচেয়ে বেশি ট্যাক্সের সুবিধা পায়
কারা রেসিজম-বিরোধী সভা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল
কারা ম্যালকম, কেনেডি আর তার ভাইকে খুন করেছে
কারা ডক্টর কিংকে খুন করেছে, কারা অমন ব্যাপার চাইবে ?
তারা কি লিংকন খুনের সঙ্গে জড়িত ?
কারা গ্রেনাডা আক্রমণ করেচিল
কারা অ্যাপারথেড থেকে রোজগার করেছিল
কারা আইরিশদের উপনিবেশ করে রেখেছে
কারা পরে চিলে আর নিকারাগুয়ার সরকারদের পতন ঘটালো
কারা খুন করেছে ডেভিড সিবেকো, ক্রিস হানি
সেই লোকগুলো যারা খুন করেছিল বিকো, কাবরাল,
নেরুদা, আয়েন্দে, চে গ্বেভারা, সানডিনোকে
কারা খুন করেছিল কাবিলাকে, যারা মুছে দিতে চেয়েছিল
লুমুম্বা, মণ্ডলেন, বেটি শাবাজ, ডাই, প্রিন্সেস ডি, রাল্ফ ফেদারস্টোন
লিটল ববিকে
কারা জেলে পুরেছিল ম্যাণ্দেলা, ধোরুবা, জেরোনিমো, আসতা,
মুমিয়া, গারভি, দাশেইল হ্যামেট, আলফেয়াস হাটনকে
কারা খুন করেছিল হুয়ে নিউটন, ফ্রেড হ্যাম্পপটন, মেজার এভার্স,
মিকি স্মিথ, ওয়ালটার রডনিকে
তারাই কি ফিদেলকে বিষে মারতে চেয়েছিল
কারা ভিবেতনামিদের দাবিয়ে রাখতে চেয়েছিল
কারা লেনিনের মাথার জন্য দাম রেখেছিল
কারা ইহুদিদের উনোনে ঢুকিয়েছিল
আর তাতে কারা সাআয্য করেছিল
কারা বলেছিল “সবচেয়ে আগে আমেরিকা”
আর হলুদ স্টারকে সন্মতি দিয়েছিল
কারা খুন করেছিল রোজা লুক্সেমবার্গ, লিবনেক্ট
কারা খুন করেছিল রোজেনবার্গদের
আর ভালো লোকেদের বরফে চুবিয়েছিল
অত্যাচার করেছিল, গুমখুন করেছিল, লোপাট করেছিল
কারা আলজেরিয়া, লিবিয়া, হাইতি, ইরান, ইরাক
সউদি, কুয়েত, লেবানন, সিরিয়া, মিশর, জর্ডান,
প্যালেস্টাইন থেকে ধনী হয়েছিল
কারা কঙ্গোতে মানুষের হাত কেটে দিতো
কারা এইডস আবিষ্কার করলো
কারা জীবানুভরা কম্বল রেডইনডিয়ানদের বিলিয়েছিল
কারা ভেবে বের করেছিল “অশ্রুর গমনপথ”
কারা মেইনে উড়িয়ে দিলো আর স্পেনের গৃহযুদ্ধ আরম্ভ করল
কারা শারনকে আবার ক্ষমতায় বসালো
কারা সমর্থন করলো বাতিস্তা, হিটলার, বিলবো
চিয়াঙ কাই শেককে
কারা ইতিবাচক পদক্ষেপকে শেষ করেচিল
পুনর্নিমাণ, নিউ ডিল, নিউ ফ্রন্টিয়ার, দি গ্রেট সোসায়টি
টমের পাছা ক্লারেন্স কার হয়ে কাজ করে
কোলোনের মুখ থেকে কারা বেরিয়ে আসে
কারা জানে কণ্ডোলিজা কি জিনিস
কারা কনেলিকে মাইনে দেয় কাঠের নিগ্রো হবার জন্য
কারা প্রতিভার পুরস্কার দেয় হোমো লোকাস সাবসিডেয়ারকে
কারা এনক্রুমা, বিশপের গদি উল্টে ছিল
কারা রবসনকে বিষ দিয়েছিল
কারা দুব্যকে জেলে পুরতে চেয়েছিল
কারা র‌্যাপ গাইয়ে জমিল আল আমিনকে ফাঁসাতে চেয়েছিল
কারা রোজেনবার্গদের, গার্ভিকে, স্কটসবরো বয়েজদের,
হলিউড টেনদের ফাঁসিয়েছিল
কার রাইখস্টাগে আগুন ধরিয়েছিল

কারা জানতো ওয়ার্লড ট্রেড সেন্টারে বোমা মারা হবে
কারা টুইন টাওয়ার্সের ৪০০০ ইজরায়েলি কর্মীকে
বাড়িতে থাকতে বলেছিল
শারন কেন সেখান থেকে দূরে ছিল ?

কারা ? কারা ? কারা ?

পেঁচার বিস্ফোরণ বলেছে সংবাদপত্রগুলো
শয়তানের মুখ দেখা গেছে
কারা যুদ্ধ থেকে ধনী হয়
কারা ভয় আর মিথ্যা থেকে রুজিরুটি কামায়
কারা চায় পৃথিবীটা যেমন আছে তেমনই থাকুক
কারা চায় জগতটা সাম্রাজ্যবাদীরা শাসন করুক
আর জাতীয় শোষণ আর সন্ত্রাস হি২স্রতা, ক্ষুধা আর
দারিদ্র্য শাসন করুক।
কারা নরকের শাসক ?
কারা সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাবান
কাকে তুমি জানো যে কখনও
ঈশ্বরকে দেখেছে ?

কিন্তু সকলেই দেখেছে
শয়তানকে

প্যাঁচার বিস্ফোরণের মতন
তোমার জীবনে তোমার মগজে তোমার অস্তিত্বে
প্যাঁচার মতন যে শয়তানকে চেনে
সারা রাত, সারা দিন যদি তুমি শোনো, প্যাঁচার মতন
আগুনে ফেটে পড়ছে । আমরা প্রশ্ন উঠতে শুনেছি
পাগল কুকুরের শিসের মতন ভয়ঙ্কর আগুনে
নরকের আগুনের অ্যাসিড বমির মতন
কারা আর কারা আর কারা কারা কারা
কারাআআআ আর কারাআআআআআআআআআআ !

ঘটনা
ও ফিরে এলো আর গুলি চালাল । ও ওকে গুলি মারল । ও যখন ফিরে
এলো, গুলি চালাল, আর ও পড়ে গেল, হুমড়ি খেয়ে, চলে গেল
ছায়া-জঙ্গল পেরিয়ে, গুলি চালাল, মরছে, মরে গেল, সব শেষ ।

তলার দিকে, রক্ত বেরোচ্ছে, গুলি খেয়ে মৃত । ও তখন মারা গেল, সেখানে
পড়ে যাবার পরে, ঘুরন্ত বুলেট, ফর্দাফাঁই করে দিলো ওর মুখ
আর রক্ত হত্যাকারীর ওপর আর ধূসর আলোয় ঝর্ণার মতন ছিটিয়ে পড়ল।

মৃত লোকটার ছবি, সব জায়গায় । আর তার আত্মা
আলোকে শুষে নিচ্ছে । কিন্তু ও মরে গেলো অন্ধকারে ওর আত্মার চেয়েও
অন্ধকারে আর সবকিছুই অন্ধের মতন হুমড়ি খেয়ে পড়ল ও যখন মরছে

নক্ষত্রদের নীচে ।
আমাদের কিছু বলার নেই
হত্যাকারী সম্পর্কে, শুধু এই যে ও ফিরে এলো, কোথাও থেকে
যা করেছে তা করার জন্য । আর কেবল একবার গুলি চালাল ওর শিকারের
চাউনির দিকে, আর রক্ত বেরোতে আরম্ভ করতেই দ্রুত কেটে পড়ল। আমরা জানি

হত্যাকারী ছিল বেশ পটু, দ্রুত, আর মৌন, আর ওর বলি-দেয়া লোকটা
বোধহয় ওকে চিনতো । তাছাড়া, মৃত লোকটার জমাট রক্তের
অপ্রীতিকর মুখের ভাব, আর ওর হাতের ও আঙুলের শীতল
হতভম্বভাব ছাড়া, আমরা আর কিছুই জানি না ।


কুড়ি খণ্ডে লেখা আত্মহত্যার চিরকুটের ভূমিকা
ইদানিং, আমি অভ্যস্ত হয়ে গেছি যেভাবে
মাটি ফেটে যায় আর আমাকে গিলে ফ্যালে
যখনই আমি কুকুরটাকে বেড়াতে নিয়ে যাই ।
কিংবা  নাটুকে ব্যাবসার ফালতু সঙ্গীত
বাতাস তৈরি করে যখনই আমি বাস ধরতে দৌড়োই…
ব্যাপারটা তেমনই দাঁড়িয়েছে।

আর এখন, প্রতিরাতে আমি নক্ষত্র গুনি।
আর প্রতি রাতে আমি একই সংখ্যা পাই।
আর যখন তারা গোনবার জন্য আসবে না
আমি তাদের ফেলে যাওয়া গর্তগুলো গুনি ।

কেউ আর গান গায় না ।

আর তারপর গতরাতে আমি পা টিপে টিপে
আমার মেয়ের ঘরের কাছে গিয়ে ওর গলার আওয়াজ পেলুম
কারোর সঙ্গে কথা বলছে, আর যখন দরোজা খুললুম
তখন কেউই সেখানে ছিল না….

কেবল ও হাঁটু গেড়ে, উঁকি মারছে
নিজের জোড়-করা হাতে


রেডিওর স্মৃতি
লভামন্ট ক্র্যান্সটনের দৈবতা সম্পর্কে চিন্তা করা কে-ই বা বন্ধ করেছে ?
( কেবল জ্যাক কেরুয়াক, যা আমি জানি : আর আমি।
তোমরা বাদবাকিরা হয়তো টিভিতে বা কেট স্মিথের কাছে শুনেছ,
কিংবা সেই রকমই কিছু অনাকর্ষক ।)

আমি কিই বা বলতে পারি ?
এর চেয়ে বরং প্রেমে পড়ে হারিয়ে ফেলা ভালো
তোমার বৈঠকখানায় লিনোলিয়াম পাতার তুলনায় ?

আমি কি কোনো সন্ন্যাসী বা অমনকিছু নাকি ?
সপ্তাহান্তে ম্যানড্রেকের সন্মোহক ভঙ্গী ?
( মনে রেখো, কথা বলিয়ে রবার্টদের সারিয়ে তোলার ক্ষমতা আমার নেই…
আমি পারি না, এফ জে শীনের মতন, কেমন করে সঞ্চয় ধনী করে তুলবে !
আমি এমনকি তোমাকে হুকুম করতে পারি না যে হিটলার বা গডি নাইটের মতন
গ্যাসচেম্বারের আলোকপ্রাপ্তিতে ঢোকো )

আর ভালোবাসা একটা evil শব্দ ।
উল্টে দাও/দ্যাখো আমি কি বলতে চাইছি ?
একটা বাজে শব্দ । আর তাছাড়া
কে-ই বা এর মানে বোঝে ?
আমি অমন অঙ্গ নিয়ে নিশ্চয়ই বাইরে বেরোতে চাইব না ।

শনিবার সকালে আমরা শুনতুম রেড ল্যানটার্ন আর তার সমুদ্রের তলাকার লোকজন।
এগারোটার সময়ে, লেটস প্রিটেণ্ড
আর আমরা তা-ই করতুম
আর আমি, যে একজন কবি, এখনও তাই করি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ !

আমি কী বলতুম যেন ( বদলে যাবার পরে যখন সে সুরক্ষিত আর অদৃশ্য আর অবিশ্বাসীরা ঢিল ছুঁড়ে মারতে পারত না ?) “হেঃ, হেঃ, হেঃ ।

কে-ই বা জানে পুরুষের হৃদয়ে evil ওৎ পেতে থাকে ? ছায়ারা জানে ।”
ওহ, হ্যাঁ ও জানে
ওহ, হ্যাঁ ও জানে
শব্দটা evil
এই ভালোবাসা ।


বক্তৃতা দেবার চিরকুট
আফ্রিকান ব্লুজ
আমাকে চেনে না । ওদের পায়ের তাল, বালিতে
তাদের নিজের
দেশের । একটা দেশ
কালো আর শাদায়, সংবাদপত্র
ফুটপাতে ওড়ানো
জগতসংসারের । অনুভব
করে না
আমি কে ।

শক্তি

স্বপ্নে, স্নায়ুর চোরাগোপ্তা
শাবক, বাতাস
বালি উড়িয়ে দেয়, চোখগুলো
কিছুতে বাঁধা পড়েছে
ঘৃণা, ঘৃণায়, ঘৃণায়, যেতে হবে
বিদেশে, ওরা চালায়
মৃত্যুকে আলাদা করে
আমার নিজের থেকে । ওই
মাথাগুলো, আমি বলি
আমার “জনগণ”

( আর ওরা কারা । জনগণ । নিজের বলতে
আমি, কুৎসিত মানুষ, যে
তুমি, চিন্তা করো
শাদা চ্যাপ্টা পাকস্হলীর কথা
চাকরানিদের, বাড়ির ভেতরে
মরছে, কৃষ্ণাঙ্গ । ছাড়ানো চাঁদ
আমার আঙুলে আলো
নড়ে মেয়েটির
পোশাকের তলায় । যেখানে
ওর স্বামী রয়েছে । কৃষ্ণাঙ্গ
কথাগুলো বালি ওড়ায়
চোখে, আঙুলগুলো
সৈন্যদের মৃত । যাদের
আত্মা, চোখ, বালিতে । আমার গায়ের রঙ
ওদের মতন নয় । ফিকে, শাদা মানুষ
কথা বলে। কেটে পড়া । আমার নিজের
মৃত আত্মারা, আমার, তথাকথিত
জনগণ । আফ্রিকা
এক বিদেশ । তুমি
যেকোনো দুঃখি মানুষের মতন এখানে
আমেরিকার লোক ।

No comments:

Post a Comment