Friday, June 14, 2019

বিট জেনারেশনের মহিলা কবি লেনোর কানডেল-এর কবিতা ( ১৯৩২ - ২০০৯ ) । অনুবাদ: মলয় রায়চৌধুরী

        বিট জেনারেশনের মহিলা কবি লেনোর কানডেল-এর কবিতা ( ১৯৩২ - ২০০৯ )
অনুবাদ : মলয় রায়চৌধুরী       
                                       
                                       ঈশ্বরের/প্রেমের কবিতা   
ভালোবাসার অন্য কোনো পথ নেই/কিন্তু/সুন্দর/
           আমি তোমার সবকিছু ভালোবাসি
আমি তোমাকে ভালোবাসি/তোমার শিশ্ন আমার হাতে
পাখির মতন চঞ্চল হয়ে ওঠে   
আমার আঙুলগুলোয়
যেমন যেমন তুমি ফুলে বেড়ে ওঠো আর কঠিন হও আমার হাতে
বাধ্য করো আমার আঙুলগুলোকে খুলতে
তোমার শক্ত শক্তি
তুমি সুন্দর/তুমি সুন্দর   
তুমি এক শতবার সুন্দর
আমি আমার প্রেমের হাত দিয়ে তোমাকে আলোড়িত করি   
             গোলাপি-নখ দীর্ঘ আঙুল
আমি তোমাকে সোহাগ করি
আমি তোমাকে আদর করি
     আমার আঙুলের ডগা...আমার হাতের তালু…
তোমার লিঙ্গ উঠে দাঁড়ায় আর আমার হাতে স্পন্দিত হয়
এক চমকপ্রদ জ্ঞান/যেমন আফ্রোদিতি জানতেন
         একটা সময়ে দরবতারা পবিত্র ছিলেন
         /আমি মনে করতে পারি লতাকুঞ্জের মধ্যে রাতগুলো
          আমাদের রস মধুর চেয়েও মিষ্টি
         /আমরা একইসঙ্গে ছিলুম মন্দির আর দেবতা/
আমি তোমার সঙ্গে নগ্ন
আর আমি আমার মুখ তোমাতে দিচ্ছি    শ্লথতায়
আমি অপেক্ষা করছি তোমাকে চুমু খাবার জন্য
আর আমার জিভ তোমাকে পুজো করছে
                     তুমি সুন্দর
                     তোমার দেহ আমার কাছে এগিয়ে আসে
মাংসের সঙ্গে মাংস
ত্বক পিছলে যায় সোনালি ত্বকে
যেমন আমার তোমাতে
       আমার মুখ আমার জিভ আমার হাত
আমার তলপেট আর পাদুটি
তোমার মুখে            তোমার ভালোবাসায়
অবাধে...অবাধে…
আমাদের দেহ আলাদা হয় আর জোড়া লাগে
অসহ্যভাবে
তোমার মুখাবয়ব আমার ওপরে
           যাবতীয় দেবতাদের মুখাবয়ব
           আর সুন্দর রাক্ষসদের
  তোমার চোখ
  ভালোবাসা ভালোবাসাকে ছোঁয়
   মন্দির আর দেবতা
   এক   
সন্মতির বয়স    
দেবদূতদের সঙ্গে কথা না বলে আমি সন্তুষ্ট হই না
আমি দেবতার চোখ দেখতে চাই
যাতে ব্রহ্মাণ্ডে অলৌকিকতার টোপ দেবার জন্য নিজেরটা প্রয়োগ করতে পারি
যাতে শ্বাস ফেলতে পারি আর বিষ ওগরাতে পারি
যাতে ওই দরোজাটার তালা খুলতে পারি যেটা আগেই খোলা আর ঢুকতে পারি বর্তমানে
যা আমি কল্পনা করতে পারি না
আমি তার জবাব চাই যে প্রশ্নগুলো করতে এখনও শিখিনি
আমি আলোকপ্রাপ্তিতে প্রবেসের দাবি করছি, অলৌকিকতার সংমিশ্রণে
অসহ্য আলোর উপস্হিতিতে
হয়তো সেই ভাবেই যেভাবে গুটিপোকারা তাদের উড়ালের ডানা দাবি করে
কিংবা ব্যাঙাচিরা দাবি করে তাদের ব্যাঙজীবন
কিংবা মানবসন্তান দাবি করে তার বেরোনো
উষ্ণ গর্ভের সুরক্ষা থেকে
প্রথমে ওরা দেবদূতদের জবাই করলো
১.
প্রথমে ওরা দেবদূতদের জবাই করলো
তারের দড়ি দিয়ে তাদের রোগা শাদা পা বেঁধে
আর
তাদের রেশমের কন্ঠ শীতল ছুরি দিয়ে চিরে
মুর্গির বাচ্চার মতন ডানা ঝাপটিয়ে তারা মারা গেল
আর তাদের অবিনশ্বর রক্ত জ্বলন্ত পৃথিবীকে ভিজিয়ে দিলো
আমরা মাটির তলা থেকে তা দেখলুম
সমাধিফলক থেকে, কবরের গুপ্তঘরে
আমাদের হাড়গিলে আঙুল চিবিয়ে
আর
পেচ্ছাপে দাগ-ধরা গোটাবার চাদরে কাঁপতে লাগলো
বিদায় নিয়েছে উচ্চশ্রেনির দূতেরা আর স্বর্গীয় দূতেরা
ওরা ওদের খেয়ে ফেলেছে আর মজ্জার লোভে হাড় ফাটিয়েছে
ওরা নিজেদের পাছা পুঁছেছে দেবদূতদের পালকে
আর এখন তারা পাথুরে রাস্তায় হাঁটছে
আগুনের গর্তের মতন চোখ নিয়ে

২.
দেবদূতদের ব্যাপারে কে শাসকদের খবর দিয়েছে ?
কে যিশুর শেষ-ভোজের পেয়ালা চুরি করেছে আর তা বদলে দিয়েছে একজগ মদ দিয়ে?
কে গ্যাব্রিয়েলের সোনালি শিঙকে লোপাট করেছে ?
                           তা কি কোনো ভেতরের লোক করেছিল ?
কে দেবতার মেষশাবককে পুড়িয়ে খেয়েছে ?
কে সন্ত পিটারের চাবিগুলো উত্তর সাগরতীরের
পায়খানার মধ্যে ফেলেছে ?
কে সন্ত মেরিকে ঘরসামলাবার ছাপ মেরেছে ?
                           তা কি কোনো ভেতরের লোক করেছিল?
আমাদের অস্ত্রগুলো কোথায় ?
আমদের গদাগুলো কোথায়, আমাদের আগ্নেয়তীর, আমাদের বিষ-গ্যাস
আমাদের হাতবোমা ?
আমরা বন্দুকের জন্যে হাতড়াই আর আমাদের হাঁটুতে গজায় ক্রেডিট কার্ড।
আমরা বাতিল চেক বমি করি
দুই পা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকি চাপের সামনে সাবান-মাখা মুখে ফুঁপিয়ে
আমাদের রেডিওঅ্যক্টিভ চোখে
আর চিৎকার করি
শেষতম রাইফেলের জন্য
পয়গম্বরি কামান
ইস্টারের বোমা
নারীদের গর্ভ চিরে শিশুদের বের করে আনে
বেয়োনেট দিয়ে
অন্ধ নার্সদের চোখে রক্ত ছেটাতে থাকে
তাদেরই তরোয়ালে তাদের কচুকাটা করার আগে
পুরুষদের লিঙ্গ হয়ে উঠেছে নীল ইস্পাতের মেশিনগান,
বুলেট বীর্যপাত হয়, মৃত্যুকে ওরা অরগ্যাজমের মতন ছড়িয়ে দ্যায়
ঝোপের ভেতরে প্রেমিকরা একে আরেকের লিঙ্গ ওপড়াতে থাকে
লোহার নখ দিয়ে
টাটকা রক্ত খেতে দেয়া হয় স্বাস্হ্যের জন্য বীজানুহীন
কাগজের কাপে
ক্লাবের সিফিলিসে ভোগা মেয়েরা তা এক ঢোঁকে গিলে ফ্যালে
পেপিয়ার মাশে মুখোশ পরে
প্রত্যেকে মুখ হাতে রাঙানো হ্যামলেটের মা
দশ বছর বয়সে
আমরা মাটির তলা থেকে দেখি
আমাদের চোখগুলো দূরবীনের মতন
আমাদের আঙুল ছুঁড়ে দিই কুকুরদের দিকে লজেঞ্চুসের জন্য
তাদের ডাক থামাবার উদ্দেশে
শান্তি বজায় রাখার খাতিরে
বন্ধুত্ব করা আর প্রভাবিত করার জন্য

৩.
বোমা পড়লে আশ্রয় নেবার কোলাপসিবল ঘরগুলো আমরা কোলাপস করে দিয়েছি
আমরা জীবন বাঁচাবার গোটাবার নৌকোগুলো গুটিয়ে ফেলেছি
আর বারোটা বাজবার পর
সেগুলো ভেঙেচুরে ইঁদুরের গুয়ে জমে পাহাড় হয়েছে
সার হয়েছে বিষাক্ত ফুলের জন্য
আর ভিনাসকুঁজো গাছের জন্য
মাটির তলায় আমরা গুঁড়ি মেরে থাকি
আমাদের ছ্যাঁদাকরা বুক জড়িয়ে ধরি ছাতাপড়া বাহু দিয়ে
আমাদের ছিন্ন শিরা থেকে টপটপ রক্ত পড়ার আওয়াজ শুনতে থাকি
আমাদের চেনলাগানো খুলির ব্রহ্মতালু উপড়ে তুলি
মস্তিষ্কে হাওয়া খেলানোর জন্য
                  ওরা আমাদের দেবদূতদের খুন করেছে
কৌতূহলীদের কাছে আমরা আমাদের দেহ আর সময় বিকিয়ে দিয়েছি
আমরা আমাদের শৈশব বেচে দিয়েছি ডিশওয়াশার আর মিলশহরের বিনিময়ে
আর নুন ঘষেছি রক্তাক্ত স্নায়ুতে
অনুসন্ধানের সময়ে
                আর ওরা দেবতার খোলা মুখে হেগেছে
ওরা সন্তদের শেকল বেঁধে ঝুলিয়েছে আর ওরা
পয়গম্বরদের ঘুমের ইনজেকশান দিয়েছে
ওরা ক্রিস্ট আর শিশ্ন উভয়কেই অস্বীকার করেছে
আর বুদ্ধকে বলেছে স্কিৎসোফ্রেনিবার রোগী
ওরা যাযকদের আর পবিত্র পুরুষদের নপুংসক করে দিয়েছে
এমনকি প্রেমের শব্দগুলোকে সেনসর করেছে
        প্রতিটি মানুষের জন্য মগজের শল্যচিকিৎসা!
আর তারা রাষ্ট্রপতি পদের জন্য একজন অবমানবকে বেছেছে
        প্রতিটি গৃহিণীর জন্য মগজের শল্যচিকিৎসা!
        প্রতিটি ব্যবসাদারের জন্য মগজের শল্যচিকিৎসা !
        শিশুদের প্রতিটি স্কুলের জন্য মগজের শল্যচিকিৎসা !
আর তারা দেবদূতদের খুন করেছে

৪.
এখন গলিগুলোতে উভলিঙ্গীরা জড়ো হয় কুষ্ঠরোগিদের ঘণ্টা বাজিয়ে 
যেমন করে ধুনুচি জ্বালিয়ে দেবতাদের ধর্ষণ করার উৎসবের তোড়জোড় করে
        যে চর্বি ওদের ঠোঁটে চকচক করে তা দেবদূতদের দেহের
        যে রক্ত তাদের থাবায় জমে থাকে তা দেবদূতদের রক্ত
ওরা রাস্তায় জড়ো হচ্ছে আর দেবদূতদের চোখ নিয়ে দাবা খেলছে
        ওরা শেষ মানুষদের প্রলয়ের জন্য গড়ে তুলছে
  
৫.
এখন ভোরবেলার পরে
আমরা মাটির তলায় পাথর সরাচ্ছি, গুহার ভেতর থেকে
আমরা ফণিমনসার আঠায় পাওয়া দৃষ্টিপ্রতিভায় চোখ বড়ো করে তুলেছি
আর দাঁত মেজেছি গত রাতের মদে
আমাদের বগল ঠুসে বন্ধ করেছি ধুলোয় আর ছুঁড়ে দিয়েছি
আর তর্পণ করেছি একে আরেকের পায়ে
আর আমরা রাস্তায় ঢুকবো আর তাদের মধ্যে হাঁটবো আর লড়াই করব
আমাদের রোগা ফাঁকা হাত তুলে ধরব ওপরে
আমরা জগতের আগন্তুকদের মাঝে তিক্ত বাতাসের মতন প্রবেশ করব
আর আমাদের রক্ত গলিয়ে ফেলবে লোহা
আমাদের শ্বাস গলিয়ে ফেলবে ইস্পাত
আমরা খোলা চোখে মুখোমুখি দাঁড়াব
আর আমাদের চোখের জল ঘটাবে ভূকম্পন
আর আমাদের বিলাপ পাহাযগুলোকে উঁচু করে তুলবে
সূর্যের পথচলা থামিয়ে দেবে
ওরা আর কোনো দেবদূতকে খুন করতে পারবে না !
সঙ্গমের সঙ্গে ভালোবাসাবাসি করা
সঙ্গমের সঙ্গে ভালোবাসাবাসি করা
ভালোবাসার সমস্ত উষ্ণতা আর আরণ্যকতা নিয়ে সঙ্গম করা
তোমার মুখের জ্বর আমার তাবৎ গোপনীয়তা আর অজুহাত খেয়ে ফেলছে
আমাকে রেখে যাচ্ছে বিশুদ্ধ জ্বলন্ত নিঃশেষে
এই মিষ্টতা সহ্য করা কঠিন
     মুখ প্রায় ছুঁচ্ছে না মুখকে

     স্তনবৃন্তের সঙ্গে স্তনবৃন্ত আমরা ছুঁইয়েছি
     আর আমরা হয়ে গেছি সহসা অসাড়
     এক তেজোময়তার স্রোতে
যা কিছু আমি এতোকাল জেনেছি তার অতিরিক্ত
     আমরা স্পর্শ করলুম

     আর দুই দিন পরে
      আমার হাত জড়িয়ে ধরল তোমার ধাতুরসাসিক্ত   শিশ্ন              
      আবার !     
                   তেজোময়তা
                   বর্ণনাতীত
                   প্রায় অসহনীয়  

প্রপঞ্চগুণহীন বস্তু আর প্রপঞ্চের মাঝের আড়াল
           অতিক্রম করে
বৃত্ত            সাময়িকভাবে পরিপূর্ণ
                                     ক্রিয়ার ভারসাম্য
                                             নিখুঁত
         একসঙ্গে পাসাপ[আশি, আমাদের দেহ ভালোবাসায় মজে যাচ্ছে
         যা কখনও মজেনি এর আগে
         আমি তোমার কাঁধে চুমু খাই আর তা থেকে লালসার গন্ধ বেরোয়
         কামদগ্ধ দেবদূতদরা নক্ষত্রদের সঙ্গে সঙ্গম করছে

আর চিৎকার করে স্বর্গকে জানাচ্ছে তাদের অপ্রশমণীয় আনন্দ
         ধুমকেতুদের লালসা ধাক্কা খাচ্ছে অপার্থিব মৃগিরোগে
         স্ত্রীপুরুষ লক্ষণান্বিত দেবতারা পরস্পরের সঙ্গে
         অচিন্ত্যনীয় কাজ করছে
         চিৎকার করেসমগ্র ব্রহ্মাণ্ডে আর তা অতিক্রম করে
                                      ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের আহ্লাদ
আর আমরা পাসাপাশি, আমাদের দেহ ভিজে আর জ্বলন্ত,
আর
     আমরা ফোঁপাই      আমরা ফোঁপাই আমরা ফোঁপাই অবিশ্বাস্য চোখের জলে
     যা সন্তরা আর পবিত্র মানুষেরা ঝরিয়েছে
     তাদের নিজেদের জ্যোতির্ময়  দেবতাদের সামনে

আমি কানে কানে তোমার প্রতিটি রোমকূপে ভালোবাসা জানিয়েছি   
                           যেমন তুমি জানিয়েছ
                                 আমাকে
আমার সমস্ত দেহ হয়ে উঠেছে যোনিমুখ     
আমার পা আমার হাত আমার তলপেট আমার বুক আমার কাঁধ আমার চোখ  
তুমি তোমার জিভ দিয়ে
আমাকে অবিরাম সঙ্গম করো   তোমার দৃষ্টি দিয়ে
তোমার কথা দিয়ে তোমার উপস্হিতি দিয়ে
আমরা অন্য মূর্তিতে বদলে যাচ্ছি
আমরা কোমল উষ্ণ আর কম্পনরত
নতুন সোনালি প্রজাপতির মতন

                      তেজোময়তা
                      বর্ণনাতীত
                      প্রায় অসহনীয়
রাতের বেলায় অনেক সময়ে আমি দেখি তোমার দেহ উদ্ভাসিত
ভালোবাসার গ্রিক দেবতা/কবিতা
ভালোবাসার যুবক গ্রিক দেবতাকে প্রণাম যিনি তরুণীদের সঙ্গে সঙ্গম করেন!
কেবল দেবতারাই অমন ঔদার্য্য পছন্দ করেন
সবায়ের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন সুষমা
ভালোবাসার গ্রিক দেবতাকে প্রণাম ! যিনি সৌন্দর্য্যকে ভালোবাসেন
আর তা সর্বত্র পান     
হে ভালোবাসার গ্রিক দেবতা আমি তোমাকে আর তোমার দেবীদের দেখেছি
ভালোবাসার কামনার কুয়াশায় মোড়া ফুলের মতন সত্য  
যা নিজের দিনে ফোটে আর বাতাসে হারিয়ে যায়
আমি তোমার চোখ দেখেছি আহ্লাদে ধিকিধিকি জ্বলছে    
যখন তুমি তোমার সুন্দর জিভ দিয়ে মিষ্টি মননের সৌন্দর্য্যকে ভালোবাসছিলে  
আর তারপর দেখেছি একই আহ্লাদের গভীরতায় ঝিকমিক করছে
যখন কোমল রমণীরা তোমার বাহুতে শুয়েছিল
ভালোবাসার গ্রিক দেবতাকে প্রণাম ! যিনি প্রেমকে সঞ্চয় করে রাখেন না
বরং তা খরচ করে ফ্যালেন সোনালি ছাঁকনিতে জলের মতন
ভাগাভাগি করে নেন নিজের কোমল খেয়ালি গরিমা
সকলের সঙ্গে যারা তাঁর উপস্হিতিকে মান্যতা দেয়
ফুলের মতন  অবিশ্বস্ত, বাতাস-তাড়িত প্রজাপতির মতন চপল
ভালোবাসার গ্রিক দেবতাকে প্রণাম, তিনি দেবতাদের বালক !
যিনি কেবল সৌন্দর্য্যকে ভালোবাসেন     
আর তা খুঁজে পান সর্বত্র
ফিনিক্সের গান                               
তাহলে আমি আর বড়ো হবো না
যদি শিশু বলতে বোঝায় বিস্ময়ের বোধ   
আমার বৃষ্টিময় বাতাসে আমার মাথায় থাকে বৃষ্টি
আমি সময়ের আগুনে উধাও হবো না
বরং নিজেকে ফিনিক্স হিসাবে প্রমাণ করব
                  ( নক্ষত্রের গুঁড়োর মতন ছাই )
আবার জন্ম আর আবার আর আবার                                                   
                                  
স্বৈরাচারীদের জন্য কবিতা     
সংবেদনশীল মানুষেরা অসংখ্য--
         আমি প্রতিজ্ঞা করেছি তাদের আলোকিত করব
--বুদ্ধধর্মের প্রথম সঙ্কল্প
মনে হয় তোমাকেও ভালোবাসতে হবে
সুন্দরদের ভালোবাসা সহজ
শিশুদের    সকালের গরিমা   
সহজ  ( যেমন যেমন সমবেদনা বৃদ্ধি পায় )
অচেনাকে ভালোবাসা

অনুধাবন করা আরও সহজ ( সমবেদনায় )
তাতে যে ব্যথা আর সন্ত্রাস লুকিয়ে আছে
যারা নিজেদের চারিপাশের জগতকে
হিংস্রতার সঙ্গে পরিচালনা করেন  এতো ঘৃণা

কিন্তু ওহ     আমি যিশুখ্রিস্ট নই যে
আমাকে যারা ফাঁসি দেয় তাদের আশীর্বাদ করবো
আমি বুদ্ধ নই        কোনো সন্ত নই

আমার সেই জ্যোতির্ময় ক্ষমতাও নেই
বিশ্বাসে আলোকিত


তবু     তা সত্তেও
তুমি একজন সংবেদনশীল মানুষ
এই বাতাসে শ্বাস নিচ্ছ
এমনকি আমিও একজন সংবেদনশীল মানুষ
এই বাতাসে শ্বাস নিচ্ছি
চাইছি নিজের আলোকপ্রাপ্তি
তোমার জন্যেও চাইতে হবে

যদি আমার যথেষ্ট ভালোবাসা থাকে
যদি আমার যথেষ্ট বিশ্বাস থাকে
হয়তো আমি তোমার পথকে পার হতে পারবো
আর তাকে বদলাতেও পারব

আমাকে ক্ষমা করুন, তাহলে--
আমি এখনও আপনাকে ভালোবাসতে পারব না




No comments:

Post a Comment