Thursday, June 13, 2019

বিট জেনারেশনের মহিলা কবি ক্যারল বার্জ-এর কবিতা ( ১৯২৮ - ২০০৬ ) । অনুবাদ :মলয় রায়চৌধুরী

বিট জেনারেশনের মহিলা কবি ক্যারল বার্জ-এর কবিতা ( ১৯২৮ - ২০০৬ )
অনুবাদ : মলয় রায়চৌধুরী
আরম্ভের গান
হ্যাঁ   তোমাকে অনুমতি দেয়া হল তুমি
যাও     হ্যাঁ  তুমি জ্যোতির্ময়
গরিমা দেয়া হল     হলে
           অকাট্য
তুমি যেমন তুমি তেমন দাঁড়িয়ে তোমার মতন
হাঁটো
    হ্যাঁ       তোমাকে ক্ষমা করা হল তোমাকে
ভালোবাসা হল আর আলিঙ্গন করা হল
                হ্যাঁ
                         তোমাকে বলে হবে
অসাধারণ যেমন ভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে  আর
সহজ ভাবে বসে থাকবে
                হ্যাঁ তুমি আরম্ভ করো
এইভাবে       একটা ছোটো পদক্ষেপ       এই পদক্ষেপ
দোনামনা   বিস্ময়কর যেমন পর্ণ
ফার্ন গাছের বাতাসে
                 তারপর কোমল আগাছা
আরেক পদক্ষেপ যতোক্ষণ না
                  শ্যাওলা আর তারপর  
হ্যাঁ          তুমি ওখানে বৃষ্টিতে দৌড়োচ্ছো
আলোর হাওয়া          পাতাগুলো
                                   সবই
মুখগুলো শেষ পর্যন্ত বন্ধুদের   ও
                                হ্যাঁ
হ্যাঁ
            তোমায় দেখতে এতো সুন্দর যে তুমি             
              
হাঁটছো যেমন দৌড়োও ওড়ো ভেতরে আসো না     
       বাতাস               পাতাগুলো
                 জ্যোতির্ময় সূর্য
আর তোমার মুখ             ও শোনো
                       সবই
          হ্যাঁ     শেষ পর্যন্ত             
                         
জলের সঙ্গে
ওরা প্রত্যেকে বলে ‘আমি তোমাকে ভালোবেসেছি
কেননা তুমি কখনও আমাকে বলোনো যে আমি কুৎসিত’
সাবান রক্তকে থামায় : ঠাণ্ডা জল তাকে মোছে ।
ওর চললো, পুরোনো রাস্তা ধরে
প্রত্যেকটা শহরে, উঁচু হ্যাট পরে
ব্যক্তিগত বঞ্চনায়, ওদের ক্ষয়ে যাওয়া নখ
বিশেষ দিনের ডাক টিকিটে সাজানো
তারওপরে তাদের যৌবনের মুখ । গত বছরের
গুজবগুলো বাঁধাকপিকে স্বাস্হ্যের জন্য উপকারী কলরেছে
আর আলো ছিল মূল্যহীন : এটা
দশ বছর আগে উল্টে দেয়া হয়েছে, আর গৃবধুরা
প্রতিটি পর্বে সেগুলো রান্না করলো । কিন্তু যখন
বাড়িটা চুপচাপ হলো, রাত ডুবন্ত
আত্মধিক্কারে, ‘আমি তোমাকে ভালো ভালোবেসেছি,
লক্ষ করো, লক্ষ করো আমি কি করেছি, দ্যাখো,’
জলের সঙ্গে, কেটলিভরা গরম জল,
রক্ত থামাবার জন্য, আর তার পরের সকালে
ওরা চললো, গ্রামের ঝর্ণার দিকে,
সাবানের শাদা ভুলগুলোকে শোধরাবার জন্য ।
হুলো বিড়াল কিছুই করছে না
ফ্র্যাঙ্ক মার্ফির জন্য
      ও বসে থাকে
           জানোয়ার হবার দরুন
একটা মদ্দা জানোয়ার
                পৃথিবীতে জীবন্ত
ও বেঁচে আছে ।
ও জীবন্ত
দেখে বোঝা যায় নড়চড় নেই
ভেতরের অনুগুলো নড়াচড়া করছে
পৃথিবীর দিকে
বিড়াল বসে আছে
দেখা বোঝা যায় কিছুই করছে না ।
বুকের পাঁজর নড়াচড়া করে
ঝিল্লি যৎসামান্য নড়ছে
ফুসফুস
পাকস্হলী।
চোখ দেখছে সরাসরি সামনে দিকে
অনন্তে
যতোক্ষণ ও নিশ্চল বসে
ও নড়ছে নড়ছে নড়ছে
অসম্পূর্ণ কবিতা
১.
বাইরে যাবার জন্য
                পৃথিবীতে
এখন যে পোশাকে তা
জাপানি ছাপাখানা মালিকের,
চোখ নয় কিংবা
অধিনেত্রকোণ, কিন্তু
                    হ্যাঁ,
দশণানুপাত
যেমন একটা দ্বীপের হয় :
বাইরে,
       বাইরে এক জগতে,
     এই পৃথিবী পাবার জন্য ! আর
অনেক সহজ, জটিল
যেমন ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে :
             ছোটো করে ফেলা যায়
কয়েকটা লাইনে
ছায়া দিয়ে, কাঠকে
তার কণায়
বাইরের আঙ্গিকের বদলে বরং ।
                         কোন
অংশে তুমি আছো পৃথিবীতে !
আর তার পরে, কোথায়
বাইরে যাও,
হয়তো ডাইনির
পোশাকে,
যখন জানলে
চারিদিকে সমুদ্র ! আর
কড়ি ছড়ানো : লাইন আঁকা
বালির ওপরে ।
            একবার ।
জমির ওপরে সেতু তৈরি।
২.
যেতে দিন
       হতে দিন পৃথিবীর রঙে ;
কমলা কিংবা মরচে-রঙা কিংবা
এটেল মাটির মতন কালো
যেখানে নদীরা রয়েছে
                     কিংবা নীল
শিকড়
খরাভূমির গেরুয়া থেকে,
                 বাঁচানো
বৃষ্টিতে পরিশুদ্ধ
এক হাতের দিকে ।
কিন্তু সব সময়
                 এই কম্বলের মতন
বোনা
আসল ভেড়ার পশম থেকে,
জীবন্ত, কাঁচি দিয়ে তোলা
আর রাঙানো
হয়তো বেরি দিয়ে
যতক্ষণ না ঝকমকে, কিংবা
                        যেন হয় তেমন:
              নরম স্বাভাবিক ।
কিন্তু সব সময়ে
                 ফ্যাশন-করা
চোখ দিয়ে, হাত দিয়ে,
বন্ধুদের মুখের মতন, ক্ষয়াটে কিংবা
যুবক : প্রকৃতির সঙ্গে
                  তা স্বাভাবিক,
            করে তোলা
               হয়েছে।
 
হেতু এবং উৎপত্তি সম্পর্কে
( ডেনিসে লেভেরটভের জন্য )     
যেমন একজনের হাড়গুলো আর চিন্তাধারা
শাখার মতন দেখা দেয়, চামড়ার মধ্যে দিয়ে,
বছর কেটে যাবার সঙ্গে, ফার্ন পাতার মতন আঁকা
দৃশ্যমান বা আবছা, কন্ঠস্বর মনে পড়ে
যখন পৃষ্ঠা পড়া হয়, এটা হলো বোধ যা
আসতে চলেছে তার, যখন আবিষ্কার হয়
এই মুখ তেমন নতুন নয়, শেষ পর্যন্ত ।
তোমার বিরুদ্ধ ধারণা যখন মেনে নেয়
এই সংজ্ঞাগুলো দিয়ে তুমি যা হয়েছো ।
পরিচ্ছন্নতার প্রভাবে, প্রয়োজনহীন পতন আর পতন,
নতুন যে নকশা তার মিল অক্ষরের সঙ্গে,
অতীত বনিয়াদ গড়ে ফেলছে কিংবা যে পথে
সূক্ষ্ম পর্দাগুলো উঠে যায় ।
সেগুলো হলো তোমার কাছে যা চলে আসছে, মনে করাবার জন্য
হেতু ও উৎপত্তি সম্পর্কে, তোমার নিজের পাতায় ।
ছোটো শহর    
যা আমরা প্রত্যেকে করি
তা বেশ আগ্রহসঞ্চারী ।
বিশেষ করে একে অপরের জন্য ।
পরস্পরের কাছে আগ্রহসঞ্চারী ।
আমরা যা করি
একে অপরকে ।
এটাই সবচেয়ে
আগ্রহসঞ্চারী জায়গা
পৃথিবীতে বড়ো জোর
আগ্রহসঞ্চারী সম্ভাব্য সময় ।         
এখানে । ঠিক এক্ষুনি । আমরা
সঠিক, এখন ; আমরা সঠিক
এখানে । আমরা সঠিক ।
হ্যাঁ, আমরা সবাই এখানে।
আমরা এখানে । সবকিছুই এতো
আগ্রহসঞ্চারী, পরস্পরের কাছে
এমন জায়গা যাকে রাখা উচিত
ইতিহাসে,
পৃথিবীতে এই সময়ে !
যা আমরা করছি তা করে যাবো, যেভাবে
আমরা করি, ওকে আর
পরস্পরের সঙ্গে। আর সব সময়ে
পরস্পরের সম্পর্কে আগ্রহী ।
তুমি যদি এখানে এসে থাকো, তুমি
আপনা থেকেই এখানের হবে
নিশ্চয়ই, আর তুমি হবে
যা আমরা করি তার অংশীদার
এর একটা অংশ যাবে-আসবে
আর তাই আগ্রহসঞ্চারী
যখন তুমি কিছু করছ
আর তোমাকে করা হচ্ছে ।
ইতোমধ্যে, আমরা সবাই এখানে
এই জায়গায় আর এটা
থাকার জন্য সবচেয়ে ভালো
এখন তো অবশ্যই অন্য সময়ের চেয়ে ।



  

No comments:

Post a Comment