Wednesday, June 12, 2019

বিট জেনারেশনের মহিলা কবি বারবারা মোরাফ-এর কবিতা । অনুবাদ : মলয় রায়চৌধুরী

বিট জেনারেশনের মহিলা কবি বারবারা মোরাফ-এর কবিতা
অনুবাদ : মলয় রায়চৌধুরী

গাইজিন গিরি
সিড কোরম্যানের জন্য
আমাদের মতন অন্যেরা
তুমি কখনও
কামলালসার কবিতা লেখোনি
আমরা প্রত্যক্ষ করলুম
তোমাকে অনুসরণ করতে হবে
তার ভেতর দিয়ে অন্ধকার
আর আগ্নেয়
দরোজা যা যাচ্ছে
রহস্যের
ডাকিনিদের
বাড়ি
তবু মাছের মতন
লাফিয়ে
জল থেকে
তুমি ছিলে না
তুমি কে
দাওনি
সম্ভ্রম
সম্পাদক হিসাবে তুমি
খুন করার
সংবেদন রাখতে
যারা তোমার প্রথম
দর্শনে কুপোকাৎ
মিটার
এখনও পরের
শতাব্দিতে চলছে
Barbara Moraff is on the right
শিরোনাম নেই
এটা অন্যরকম দেখায়
যেমন দেখতে
তা থেকে
প্রায় সবসময়
প্রায় সবসময়
প্রায়
সব জিনিসই
সব জিনিস
সব জিনিসই
সব জিনিস
নারী আর
পরুষ পথ
মিলছে
নারী আর পুরুষ
রাস্তা পেরোচ্ছে
হালকা বৃষ্টি পড়ছে
ওদের সামনে, তাদের
আশেপাশে
তাদের মাঝে
তাদের ওপরে
বৃষ্টি বেঁকা হয়ে পড়ছে
অন্য শূন্যতা থেকে
যেখানে মেয়েটি
যোগমগ্ন
ওর পেছনের পাথর
পেছনে স্বচ্ছ
আর ওর সামনের জায়গায়
গোলাপি শার্ট-পরা পুরুষ
টাকমাথা আর ছিপছিপে,
জগিং করছে যে জায়গায়
তা অন্যরকম দেখাচ্ছে
যেমন দেখতে তা থেকে
প্রায় সবসময়
প্রায়
Barbara Moraff reading her poem
গোলাপি শার্ট-পরা লোকটা
মেয়েটার
ঘন খোলা গোলাপে
শুভকাজের
মতন জরুরি
শ্বাসের মতন
শ্বাস শুধু
গড়তে পারছে না
টাকমাথা লোকটাকে
গোলাপিত
শার্ট
মেয়েটাকে
পেরিয়ে চলে গেল
এমনভাবে
প্রায়ই
স্তব্ধ করে
মেয়েটার মন
এমন ব্যথায় একটা
সহজ
হ্যালো !
সামগা সামগাই
আমি ক্ষ্যাপা
যাকিছু
গোপন তা
প্রতিদিনের অংশ
যেমনভাবে আমরা
বেঁচে আছি
কখনও পৃথক হই না
একাকীত্ব থেকে ।
যাও কথাটা গিয়ে বলো
শহরে ।
ঘুমোতে যাচ্ছি
ও যেতে চায় না
বিছানায়
ওর বয়স দশ বছর
ওর বন্ধুও যাচ্ছে না
ঘুমোতে এতো তাড়াতাড়ি ও ক্লান্ত নয় ও
চোখ খুলে হাই তুলছে বেশি অক্সিজেন পাবার জন্য
ক্লান্ত হওয়ার সঙ্গে ওর কিছু করার নেই কিংবা দরকার
ও বলে সাত ঘণ্টার বেশি ঘুম তা যতো
বয়সই তোমার হোক না কেন সেটা কোনো প্রশ্ন নয়
মুখ এমন নিশ্চিত
আমি ওর চুমু নেয়া থামিয়ে/বোলো না/ওকে বোলো না তৈরি হয়ে নাও
এখন বিছানায় যাবার জন্য ওর সব সময়েই লাগে
আধ ঘণ্টা বা বেশি ও বলে তোমার মতন মেজাজি হয়েছে তাই ?
ঠিক আছে আর তিন মিনিট নয় এখন থেকে আমি বলি এখন
আমি আমার গণিতের হোমটাস্ক করে ফেলেছি ও বলে বাজে ব্যাপার আমি বলি তুমি
টিভি দেখছিলে আঠার মতন সেঁটে গ্লুওন-এর মতন গ্লুওন আবার কি জিনিস
ও বলে কালকে আমি বলি আমি এই বিষয়ে যা জানি এখনই বলছি
তুমি বিছানায় যাবার জন্য তৈরি হচ্ছো কি না আমার হুকুম আর
কানের পেছন দিকটা ধুয়ে ফেলতে ভুলো না সত্যিই আমি হুকুম করছি
ও ভাবে আরেকটা কোনো অজুহাত দেয়া যায় কিনা, আহা আমি ওকে বিছানায়
পাঠাই কানের পেছনে ময়লা নিয়েই

এটাই আমার সুযোগ আমি হাই তুলি ব্যাপারটা অক্সিজেনের আমি
স্নানঘরে যাই দাঁত মাজতে আর মুখ ধুতে, ওহ এটা ঘুমোবার সময়












কেমন করে ভেরমন্ট যাবো বলতে তুমি কি বোঝাতে চাইছ ?
কেউ নাচবার নেই
                 সঙ্গে
                         নাচের সঙ্গে
পাতা ঝরছে
                   জঙ্গলের সীমানায় ছায়াগুলো
সন্মোহিত জল বাতাস
হাসাচ্ছে
হরিণ
      পা ফেলছে
                   আলতো
মিলিয়ে যাচ্ছে বুনোঝোপে
                   ক্ষণস্হায়ী কুয়াশা
কোনোকিছুই ফাঁস করছে না
সেখানে তো নয়ই


“টাপ”-এর মানে না জেনেই যে মহিলারা টাপারওপয়্যার বিক্রি করেন
দুর্গটা প্রতিদিন শীতল হতে থাকে
আমরা সময়ের জন্য বীরব্রতীর লড়াই করি না
কালো কাঠের টেবিলে ধাতব বাসনগুলো ঝকমক করে
নির্দিষ্ট শিল্পের মতন আর আমরা দ্যূতিময়ী হই
তার কারণ আমরা স্বাস্হবতী

কিন্তু আমাদের হাঁ-মুখ দ্বীপের মতন বেঁচে থাকে
আর বেশি ছুঁয়ো না
আর আমি যতো সাবধানেই তুলি না কেন
যা তুলি, মাছ ধরি, কাঠ কাটি,
আমি এখনও তোমার সবুজ অব্যবহৃত গর্ত
আমি এখনও তোমার রানি কতো অদ্ভুত

এমনকি আনুগত্য
বিপথগামী হতে পারে,
এমনকি কামবিকৃতি পরিচ্ছন্ন

এমব্রয়ডারির কাজ নিতে পারি,
তোষক সেলাইয়ের কাজ নিতে পারি,
অন্য পুরুষ/স্ত্রীং নিতে পারি
যারা বেঁটে, শক্ত পেশি,  কালো
আর আমাকে তাদের নীচে নিয়ে যাবে শাদা চুল
নর্তকীদের সৌষ্ঠবে
যাদের চাকরি টেলিফোন কোম্পানির মেরামতির

কিন্তু আমি দাতব্য নাচে যাই না
কুমারীত্ব ছাড়া
কিংবা টাপারওয়্যার বিক্রির জন্য


No comments:

Post a Comment