Wednesday, June 12, 2019

বিট জেনারেশনের মহিলা কবি হেটি জোনস-এর কবিতা ( ১৯৩৪ ) । অনুবাদ : মলয় রায়চৌধুরী


বিট জেনারেশনের মহিলা কবি হেটি জোনস-এর কবিতা ( ১৯৩৪ )
অনুবাদ : মলয় রায়চৌধুরী
আবহাওয়া
আমার কবিতার ফোলডার
লেবেল দেয়া “আবহাওয়া” তাতে
আবহাওয়া সম্পর্কে কোনো সূত্র নেই
কিংবা তাতে থাকবেও না

আবহাওয়া সম্পর্কে বলতে হলে, ধরো,
কঠিন বৃষ্টি যেমন “ছোটো পেরেক”, কিংবা
সেই বানভাসি “ঝাঁপদেয়া ঔজ্বল্য”

এখন যেহেতু আমরা যুদ্ধ করতে ঝাঁপিয়েছি
আর যুদ্ধ কখনও থামে না বৃষ্টি-ফোঁটার মতন

সেই আগের বারের ঝিরঝিরে বৃষ্টির মতন
পুরোনো টিনের স্নানঘরের ফোকরে

বেড়ে ওঠার মিষ্টি ইশারা
নরম ভিজে উত্তরে ভাসমান

আগুন কিংবা বরফ, আগুন কিংবা বরফ

তুমি কি শ্বাস নিচ্ছ, তুমি কি যথেষ্ট সৌভাগ্যবান
       যে শ্বাস নিতে পারছ

হার্ড ড্রাইভ
শনিবার তুলোভরা ভাল্লুকগুলো আবার উঠে পড়েছিল
মেজর দিগনের ওপরে
সেতুর রেললাইন ধরে প্লাস্টিক পরে নাচছিল
অর্ধেক নীল, অর্ধেক কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশের তলায়
আর শাদা মেঘও ছিল
ভেসে আসছিল পশ্চিম থেকে

যা যথেষ্ট হতে পারতো
যারা আনন্দে মাতে তাদের জন্য
ছোটো ছোটো কিস্তিতে

কিন্তু পরে, সূর্যাস্তের সময়ে,
কাঠচেরাই কলের পাশ দিয়ে ভেসে গেল উত্তর দিকে
ঝোড়ো বাতাসে, বড়ো মেঘের সঙ্গে ভাসতে ভাসতে
রাস্তার ওপরে জানোয়ারের মতন
নিজেদের গোলাপি তলপেট সম্পর্কে বেশ গর্বে
জোরালো আলোর মুহূর্তে
আমি দেখতে পেলুম একটা এডওয়ার্ড হপার বাড়ি,
একই সঙ্গে সুন্দর-হালকা রঙ আর অন্ধকারাচ্ছন্ন
যে আমি কেঁদে ফেললুম, রুট নম্বর বাইশ ধরে
সেই অনিয়ন্ত্রিত চোখের জল
“যেন দেহ নিজেই কাঁদছিল”

আর তাই তরুণীরা
এখানেই সমস্যা
যা নিজেই সমাধান

আমি সব সময়েই এরকমই থেকেছি
কেঁদে ফেলার মতন এক নারী
আর যথেষ্ট পুরুষ
যে-কোনো দিকে আমার মোটরগাড়ি চালিয়ে নেবার জন্য
তুর্কি আত্মহত্যার জন্য বিলাপ, বয়স ২২
ও যা চেয়েছিল তা আরও বেশি
স্কুল কিংবা একটা চাকরি, যেভাবেই হোক
ও একটা আঁটোসাঁটো স্কার্ট যোগাড় করে ফেলল

মেয়েটি নিজেকে লুকিয়ে রাখতে চায়নি

কিন্তু ওর বাবা স্কার্টটা পুড়িয়ে দিলেন
আর তিনজন লোক ওকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে দিলো

মেয়েটি সেইটুকু বেঁচে থাকতে চেয়েছিল লেখার জন্য
যে ও মরে যেতে চায়

আর তারপর ও কয়েক ধাপ সিঁড়ি বেয়ে উঠল
আর বাতাসে পা রেখে দিলো
আর ছেড়ে ফেলল ওর সংক্ষিপ্ত  
জীবনের শিল্পকৌশল
প্রশংসা
মেরি পনসটের জন্য
সবাই মাঝ-সপ্তাহের বাজারের প্রশংসা করে,
ঋতুর প্রথম যৌন শসা      
ভিড়ে ঠাশা তাদের বাক্স থেকে
তাকিয়ে রয়েছে     

সবাই চেরিগুলোর প্রশংসা করে, তাদের শক্ত
লাল তলপেট, মিষ্টি, সরু ডাঁটি
আর গর্ত, আহা গর্ত, সেবা করার জন্য
মুখের ভেতরে পুরে, ছাড়িয়ে নেবার জন্য ভুলিয়ে
শেষ মিষ্টি কামড়, প্রশংসা     
করো । সবায়ের প্রশংসা করো । সবাইকে প্রশংসা।
সনেট
ভালোবাসা কখনও হামার হাত ধরেনি
গ্রীষ্মকালের সেইসব দম্পতির মতন
তালুতে তালু, নিখুঁত  
আঙুলে আঙুলে বোনা
চাপ দেয়া
ভালোবাসা কখনও ঝাঁপায়নি
আমার কাঁধের পাশে, কিংবা
আমার পানোৎসবপ্রিয় কোমর মাপেনি
যদিও ভালোবাসা ছিল এক ওস্তাদ
আর ও হাসতো যখন আসতো
ডাকাত পেটাবার মতন করে যে
ওকে প্রত্যাখ্যান করতো, আহ ।
আমি বশ্যতা স্বীকার করলুম, আপশোষ নেই
কিন্তু আমি সব সময়ে অবাক হয়েছি




1 comment: