বিট জেনারেশনের মহিলা কবি এলিজা কাওয়েন-এর কবিতা ( ১৯৩৩ - ১৯৬২ )
অনুবাদ : মলয় রায়চৌধুরী
আমি শবগুলোর চামড়া ছাড়িয়ে নিলুম
আমি শবগুলোর চামড়া ছাড়িয়ে নিলুম
আর আমার স্বপ্নের জন্য নীল রঙে রাঙিয়ে নিলুম
ওহ, আমি এই পোশাক সর্বত্র পরে যেতে পাসরি
বাড়িতে বসে রইলুম জিনস পরে।
আমি শবগুলোর চুল কেটে দিলুম
আর নিজের জন্যে বুনলুম পোকার পক্ষাবরণ
রেশম বা পশমের চেয়ে সূক্ষ্ম আমার মনে হয়
আর তার ভেতরে কাঁপতে লাগলুম ।
আমি শবগুলোর কান কেটে ফেললুম
আমার মাথা ঢাকার টুপির জন্যে
চোরকাঁটার চেয়ে উষ্ণ
আমি তার দাম দিলুম রক্ত দিয়ে ।
আমি শবগুলোর চোখ উপড়ে নিলুম
যাতে সূর্যের মুখোমুখি হতে পারি
কিন্তু দিনগুলো ছিল মেঘলা আকাশ
আর আমি হারিয়ে ফেলেছিলুম নিজের।
শবেদের যৌনাঙ্গ থেকে
আমি কর্মীসঙ্ঘের উর্দি বানালুম
এসথার, সলোমন, ঈশ্বর নিজে
আমার যোনির চেয়ে উদার ছিলেন ।
আমি শবগুলোর চিন্তা নিয়ে নিলুম
প্রতিদিনের প্রয়োজনের খাতিরে
কিন্তু সব দোকানে সব জিনিসে
সুন্দর করে লেবেল লাগানো ছিল ‘আমি’।
আমি শবগুলোর মাথা ধার নিলুম
পড়ার সুবিধার জন্য
প্রতিটি পাতায় দেখলুম নিজের নাম
আর যতো মিথ্যা শব্দ বলেছি সেগুলো।
শবগুলোর হাড় থেকে গড়া এক যন্ত্র
আমার মানুষের ভালোবাসার সঙ্গে খেলবে
কেবল যে শব্দ বেরোবে চাবিগুলো থেকে
তা পায়রাদের বকবকম ।
আমি অসংখ্য কবরের ভেতরে খুঁড়লুম
আমি ভাবলুম আমার সময় বেশ ভালো কাটলো
আয়নার দিকে যখন তাকাই সে খিলখিল হাসে
আমার মাথায় টাক আমি অন্ধ আর গায়ে সজারুর কাঁটা ।
আমি ভাবলুম শবগুলো গুরুত্বপূর্ণ
যে ঝুঁকি নিয়েছি তা নিশ্চিন্ত করেছে
যে বস্তুগুলো আমি নিয়েছি
তা দামি বিশুদ্ধ শ্বেতপাথরের ।
কিন্তু যখন এক হৃদয়ের আকর্ষণে পড়লুম
( ছোটো মণিরত্ন দিয়ে বদলাবার পর )
দেখলুম তা মনের মতন রক্তে ভরা
আর আমারটা হয়ে গেল ভুতুড়ে ।
এখন যখন আত্মাদের সঙ্গে দেখা হয়
যাদের ফাঁদে আমি কারারুদ্ধ
তারা আমায় মদ কিনে দেয় বা বই পড়ে শোনায়
কেউই আমার জামিন দিতে পারে না ।
আমি যখন আত্মা হয়ে গেলুম
( আমাকে জীবনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে )
আমি আমার মারাত্মক দেহকে বিক্রি করলুম
ছাত্র-ডাক্তারের ছুরির কাছে ।
এমিলি ডিকিনসনকে লেখা কাল্পনিক প্রেমপত্র
এমিলি
গ্রীষ্ম এলে
তুমি খুলে ফেলবে তোমার
রত্নময় মৌমাছিগুলো
যেগুলো আমাকে হুল ফোটায়
আমি খুলে ফেলবো আমার দুর্গন্ধময়
জিনস
হাতে হাত রেখে
আমরা বাইরে দৌড়োবো
সরাসরি দেখবো
সূর্যের দিকে
দ্বিতীয়বার
তামাটে ত্বকের হয়ে ওঠার জন্যে
আমি মনে করতে পারছি না
প্রশ্নটা -- সমাধান এইভাবে হলো
বালির দুটো ঢিবি
মরুভূমিতে বাঁয়ে আর ডাইনে, কিন্তু
উত্তরটা ছিল না দীর্ঘ থাম
এক কাপ চা তাদের মাঝে
মুখের প্রতিটি শব্দ এতো কঠিন
আর বিদেশযাত্রা প্রয়োজন
দেয়াল পর্যন্ত আর ফেরত
ঠিক এক্ষুনি মেয়েটা যে পারে
কিছুই না করে তাকিয়ে থাকতে--
যখন ওরা, জনসাধারণ, জগতসংসার
সামলাবার লোক, চেয়ার আর টেবিল তাতে
অবস্হান তাদের সবায়ের মাঝে, গুনতে ব্যস্ত
জিনিসগুলো আমি জানি এখানে আছে
কল্পনা করতে হবে পরিসর অতিক্রম করে
আমার চোখের কেবল যদি যতোদূর ছবিগুলো
কম বাস্তব হয়ে যায় । বিশাল সূর্য
বন্ধ জানালার ভেতর দিয়ে
তারপর আমিও
শেষ পর্যন্ত দুজনেই অদৃশ্য হয়ে যাবো
একটা পুরুষ আরশোলা
একতা আরশোলা
ঢুকে এলো
আমার জুতোর ভেতরে
সুগন্ধী অন্ধকার ওর ভালো লাগলো
একটা আরশোলা
আমার জুতোর ওপরে
উঠে এলো
শীত আর আলো এড়াতে
আমি আমার হাত
ঢোকালুম
ওর পেছনে
আরশোলা
তোমাসর জন্য সবচেয়ে ভালো যা করতে পারি
তোমাকে তুলনা করতে পারি কাঁসার সঙ্গে
আর ইহুদিদের
তুমি মোটেই স্বাগত নও
আমার জুতো ব্যবহার করার জন্য
পথের ধারে এক খেপ আরাম পেতে
আমার হাতের ছায়ায়
তুমি ফিরে আসতে থাকো
মেঝের ওপরে
আরও কিছু ? -- ভার --
তুমি একটা শুঁড় হারিয়ে ফেলেছো
আমি তোমার শুশ্রুষা করব
শিক্ষক -- তোমার দেহ আমার কাব্বালা…
শিক্ষক -- তোমার দেহ আমার কাব্বালা
রাহামিম --দরদ
তিফেরেতে -- সৌন্দর্য
মিস্টার রচেস্টারের চুরুটের সুবাস
ফুলের মাঝে
ফেটে বেরোচ্ছে
আমি তোমার কন্ঠরোধ করতে চাইছি
সূক্ষ্ম চিন্তা
প্রস্তাব রাখা হয়েছে
ফ্র্যাংকেনস্টাইন থেকে মনোরম সৌষ্ঠব
আমার ভয় থেকে জেগেছে
আর তুমি
সুন্দরভাবে
আমার গলা চেপে ধরো
দেহ আত্মার সামনে ক্ষুধার্ত
আর তারপর নিজের স্মৃতির জন্য ধাক্কা দেবার পর
কেন ভয় নেই উপযুক্তকে আঘাত করার---
বুদ্ধি ছাড়া আমাকে আঘাত করতে পারে না, মজার
আমি পারিনি, পারব না শিল্পের ক্ষেত্রে
কিন্তু গোলাপ বা পচা বাঁধাকপি দিয়ে
ঠিক--শুধু এসো আমি বাদামি কাগজ ভেঙে বেরোই
ঘর
তোমার
ফ্র্যাংকেনস্টাইন
জগত কি থেকে দেবেরো বাবিসতে
দড়ির ওপরে হাঁটে আমি
দেসনুয়েলু ( সে কে ? ) তোমার কন্ঠরোধ করার জন্য
দুহামেল আর তুমি
দে ব্রৌলে সুন্দরভাবে
দেবেরক্স আমার গলা টিপে ধরো
দেক্রক্স
দেবেরক্স
বারাল্ট
সূক্ষ্ম
ফরাসি যুক্তি
গির্জা সন্ন্যাসিনীদের কালো ফুলের শেকল
আমরা সবাই খুনি
কেইথের বুড়ো বাপ ঢেউয়ে লাফিয়ে পড়ল
মেথাড্রিন
সকালের সূক্ষ্ম নাচ
“আমি চাই তুমি আমাকে ডেকে নিয়ে যাও
যখন আমি পড়ে যাবো”
আমি যাইনি আর পড়ে গেলুম
এমনকি মৃত্যুও নয়
আমি অপেক্ষা করলুম
ডুবে যাবার
ঘরের সঙ্গে
বিড়াল গুয়ের মতন
আমাকে নিয়ে যাবে
ডোনাল্ডের প্রথম বিছানা যেখানে এই কল্পনা
লজ্জা ওকে তোমায় পালটে ফেলছে
আর তুমি বলছ কুলফুলের গোটানো কাগজ
আর সবুজ মোটরগাড়ি
লজ্জা দেহকে চিন্তা যোগাচ্ছে
আর খেলা
বিড়ালের দোলনা আর কাল্পনিক
জ্ঞানের জাফরি আর বাখ
প্রণালী
ভয় তৈরি করছে অপরাধবোধ তৈরি করছে লজ্জা
তৈরি করছে কল্পনা আর যুক্তি আর খেলা আর
সৌম্য গরিমাকে ঢাকা
ঘটনার স্মৃতিকে ফাঁকা করে দিচ্ছে
মামুলি সৌম্য দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে গরিমা
ঢেকে দিচ্ছে
দেবদূতদের মাঝে ভেঙচি
হবে না পারব না
খুনির ভয়
ঝোলাভরা কৌশল আর কর্নেলের ছবি নিয়ে বেঁটে লোক
আমার হত্যা আমার জন্য করে দেবে
ঈশ্বর লুকোনো
আর ছবির পোস্টকার্ডের জন্য নয় ।
এমিলি
আমহার্সটের শাদা ডাইনি এমিলি
আমহার্সটের ভীরু শাদা ডাইনি
নিজের শিক্ষদের খুন করল
তার ভালোবাসা দিয়ে
আমি বরং নিজেরটা কবর দেবো
আমার মন
কিংবা ভালো হবে ই নরম ধূসর পায়রা।
No comments:
Post a Comment