Tuesday, July 13, 2021

উইলিয়াম বারোজ-এর "রাজনৈতিক কবিতা"

 


বিট আন্দোলনের গদ্যকার উইলিয়াম বারোজ-এর ‘রাজনৈতিক কবিতা’

অনুবাদ : মলয় রায়চৌধুরী

আমি কি তোমাদের সেই লোকটার কথা বলেছি

যে নিজের পোঁদকে কথা বলতে শিখিয়েছিল ?

ওর পুরো তলপেট ওপর-নীচে নাচতো,

বুঝলে, পেদে-পেদে বাক্যদের বের করতো ।

জীবনে এমন ঘটনা শুনিনি কখনও ।

বুদবুদময়, ভরাট, স্হির শব্দ ।

এমন শব্দ যার গন্ধ তুমি শুঁকতে পারবে ।

সেই লোকটা কার্নিভালে কাজ করতো, বুঝলে কিনা ?

আর যদি বলতে হয় তাহলে সেটা ছিল

একধরনের নবীন ভেন্ট্রিলোকিস্ট কারবার ।

কিছুকাল পর

পোঁদটা নিজের মনেই কথা বলতে শুরু করলো ।

কোনোরকম তৈরি না হয়েই

লোকটা মঞ্চে উঠে পড়তো..…

আর পোঁদটা ওর দিকেই চটজলদি

ঠাট্টা-ইয়ার্কিগুলো প্রত্যেকবার ছুঁড়ে মারতো ।

তারপর তাতে দাঁতের মতন কিছু গজালো...

সামান্য বেঁকা রসালো বঁড়শি

আর খাওয়া আরম্ভ করে দিলো ।

ও প্রথমে ভাবলো ব্যাপারটা বেশ মস্তির

আর তার চারিধারে কাজ গড়ে তুললো…

কিন্তু পোঁদটা ওর ট্রাউজার খেতে-খেতে

রাস্তাতেই কথা বলা আরম্ভ করে দিলে…

চেঁচিয়ে বলতে লাগলো : ও সমান অধিকার চায় ।

ওটা মাতাল হয়ে উঠতো, অনেক সময়ে, আর হেঁচকি তুলে কাঁদতো।

কেউই তা পছন্দ করতো না ।

আর ও চাইতো ওকে চুমু খাওয়া হোক

অন্য যে কোনও মুখের মতন ।

শেষ পর্যন্ত, ওটা সবসময় বকবক করতো,

দিন আর রাত ।

অনেকগুলো বাড়ি পেরিয়েও তুমি শুনতে পাবে ওকে,

পোঁদকে চুপ করার জন্য হুকুম দিচ্ছে চেঁচিয়ে…

ঘুষি পাকিয়ে ওটাকে থাবড়াচ্ছে…

মোমবাতি ঢোকাচ্ছে, কিন্তু...

কোনও ভালো ফল হতো না,

আর পোঁদটা ওকে বলল…

“শেষ পর্যন্ত, আমাকে নয়

চুপ করতে হবে তোমাকেই…

“কেননা আমরা তোমাকে 

এখানে আর চাই না ।

আমি একই সঙ্গে কথা বলতে আর হাগতে চাই না ।”

তারপর থেকে, স্বচ্ছ জেলি বের করে

সকালে জেগে ওঠা আরম্ভ করল…

সারা মুখ জুড়ে গজানো

ব্যাঙাচির লেজের মতন ।

সেগুলো মুখ থেকে উপড়ে তুলতে লাগলো ও

আর টুকরোগুলো হাতে আটকে রইলো…

পেটরলের জ্বলন্ত জেলির মতন

আর বেড়ে উঠতে লাগলো ।

ফলে, শেষ পর্যন্ত, ওর মুখ বন্ধ হয়ে গেলো…

আর পুরো মাথা…

যেন আপনা থেকেই খসে পড়বে

চোখগুলো ছাড়া, বুঝলে কিনা ?

একমাত্র ব্যাপার ছিল যে

পোঁদটার দেখার ক্ষমতা ছিল না ।

ওর দরকার ছিল দুটো চোখ ।

শিরার সঙ্গে যোগাযোগ রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল…

আর সেঁদিয়ে গিয়েছিল আর অবসন্ন হয়ে গিয়েছিল ।

ফলে, মস্তিষ্ক আর

নির্দেশ দিতে পারতো না ।

ওটা মগজের ফাঁদে আটকে পড়েছিল…

সিলবন্ধ করা ।

পরে, তুমি দেখতে পাবে…

চোখের পেছনে মগজের

নিরব, অসহায় যন্ত্রণা ।

আর তারপর শেষকালে

মগজ হয়তো মরে গেলো..

কেননা চোখ দুটো বেরিয়ে এলো…

ডাঁটির ডগায় কাঁকড়ার চোখের মতন

তাতে আর কোনও অনুভূতি ছিল না ।”









No comments:

Post a Comment