Friday, May 24, 2019

আঁদ্রে ব্রেতঁ-র পরাবাস্তব কবিতা । অনুবাদ : মলয় রায়চৌধুরী

           
               
আঁদ্রে ব্রেতঁ-র পরাবাস্তব কবিতা
অনুবাদ : মলয় রায়চৌধুরী
একজন মানুষকে খুন করার পাঁচটি উপায়
একজন মানুষকে খুন করার অনেক ঝঞ্ঝাটে উপায় আছে।
আপনি তাকে দিয়ে কাঠের একটা তক্তা বওয়াতে পারেন
পাহাড়ের ওপর পর্যন্ত আর তাতে তাকে গিঁথে ফেলতে পারেন । তা করার জন্য
আপনার দরকার হবে মানানসই জনগণের ভিড়   
স্যাণ্ডেল পায়ে, একটা মোরগ যে ডাক পাড়ে, একটা ঢিলে কোট
কাটবার জন্য, একটা স্পঞ্জ, কিছুটা ভিনিগার আর একজন
মানুষ যে পেরেকগুলো ঠিকমতো ঠুকতে পারবে ।               
                       
কিংবা আপনি লম্বা একটা ইস্পাত নিতে পারেন,
ঐতিহ্যগতভাবে সুগঠিত আর খোদাই করা,
আর সে যে ধাতব-খাঁচা পরে আছে তাকে বিঁধতে পারেন ।
কিন্তু তার জন্য আপনার দরকার শাদা ঘোড়ার দল,
ইংল্যাণ্ডের গাছ. তীর-ধনুক হাতে লোকজন,
অন্তত দুটো পতাকা, একজন রাজপুত্র, আর একটা
দুর্গ যেখানে আপনি ভোজনোৎসব অনুষ্ঠান করতে পারবেন ।

আভিজাত্য বাদ দিয়ে, আপনি পারবেন, যদি বাতাস
অনুমতি দে্যায়, তার দিকে বিষবাষ্প ছুঁড়তে । কিন্তু তাহলে আপনার দরকার
পরিখায় ভাগাভাগি করা এক মাইল কাদা,
কালো জুতোর কথা অনুল্লেখিত থাকবে না, বোমার গর্ত,
আরও কাদা, মহামারীর ইঁদুরঝাঁক, এক ডজন গান
আর ইস্পাতের তৈরি কিছু গোল টুপি ।

হাওয়াইজাহাজের যুগে, আপনি উড়তে পারেন
আপনার শিকারের বহু ওপরে আর তার ব্যবস্হা করতে পারেন
একটা ছোটো সুইচ টিপে । তারপর যা আপনার
দরকার তা হল আপনাকে পৃথক করার সমুদ্র, দুটি
সরকারি প্রণালী, একটি রাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা,
অনেকগুলো কারখানা, একজন মানসিক-রোগী এবং
জমিজমা যা বহুকাল কারোর প্রয়োজন হবে না ।

এগুলো হলো, প্রথমেই যেমন বলেছি, ঝঞ্ঝাটে উপায়
একজন মানুষকে খুন করার । সহজ, সরাসরি, আর বেশ স্পষ্ট
হলো দেখা যে সে কোথাও বসবাস করছে বিশ শতকের
মধ্যভাগে, আর তাকে সেখানেই থাকতে দিন ।
                       
                       

   

ভালোবাসার স্বাধীনতা

আমার স্ত্রী কাঠের আগুনের চুলের
মগ্ন তাপের বিদ্যুতের চিন্তায়
বালিঘড়ির কোমরসহ
বাঘের দাঁতে আটক ভোঁদড়ের কোমরে গড়া
আমার স্ত্রী টুপির ফুলের ফিতের ঠোঁট আর শেষ বিস্তারের নক্ষত্রপূঞ্জসহ
শাদা মাটির ওপরে শাদা ইঁদুরের চলার পথের দাঁতে গড়া
পালিশ-করা পোখরাজ আর কাচের জিভে তৈরি
আমার স্ত্রী ছোরা-মারা বাড়ির কর্তার জিভসহ
একটা পুতুলের জিভে গড়া যে চোখ খোলে আর বন্ধ করে
এক অবিশ্বাস্য পাথরের জিভে তৈরি
আমার স্ত্রীর চোখের পাতা একটি বাচ্চার হাতের লেখার আঁচড়ে তেরি
এক ফিঙেপাখির নীড়ের কিনারার ভ্রু দিয়ে গড়া
আমার স্ত্রীর ভ্রু উষ্ণীকৃত উদ্যানের ছাদের স্লেটপাথর দিয়ে গড়া
আর কাচের ওপরে বাষ্পসহ
আমার স্ত্রী শ্যাম্পেন বোতলে গড়া
আর বরফের তলায়  এক শুশুক-মাথা ঝর্ণা
আমার স্ত্রী দেশলাইয়ের কবজি দিয়ে গড়া
আমার স্ত্রী ভাগ্যের আঙুল আর হরতনের টেক্কায় তৈরি
কাটা খড়ের আঙুলসহ
আমার স্ত্রীর বগলগুলো নেউলের লোমের আর বনবৃক্ষ-বাদামের
আর মধ্যগ্রীষ্মের রাতের
চিরসবুজ গুল্মের আর অ্যাঞ্জেলমাছের বাসার
সমুদ্রের ফেনা আর নদীবাঁধের বাহুসহ
আর গম এবং পেষাইকলের মেশামিশির
আমার স্ত্রীর পা আগুনের হলকায় গড়া
ঘড়ির সঠিক চলন আর অবসাদসহ
আমার স্ত্রীর পায়ের ডিম পুরোনো গাছের মজ্জায় গড়া
আমার স্ত্রীর পায়ের পাতা আদ্যক্ষরের
চাবির গোছা আর চড়ুইপাখির জলপান দিয়ে পায়ের পাতা তৈরি
আমার স্ত্রীর গলা বীজহীন যবশীষের
আমার স্ত্রীর কন্ঠ সোনার উপত্যকা দিয়ে গড়া
স্রোতের বিছানায় এক সঙ্কেতস্হানের
রাতের তৈরি স্তনসহ
আমার স্ত্রীর স্তনগুলো সামুদ্রিক ছুঁচোর ঢিবিসহ
আমার স্ত্রীর স্তনগুলো চুণির তৈরি ধাতু গলানোর পাত্র
স্তনগুলো শিশিরের তলায় গোলাপের প্রেতসহ
আমার স্ত্রীর তলপেট দিনগুলোর খুলতে থাকা হাতপাখা
দানবিক থাবার তলপেটসহ
আমার স্ত্রীর পেছনদিক সোজা উড়ালের পাখি
পারদের পেছনসহ
আলোর পেছনসহ
গড়ানো পাথর আর ভিজে খড়ির গ্রীবাসহ
আর যেখানে কেউ মদ খাচ্ছিল সেখানে ফেলা গেলাসের তৈরি
আমার স্ত্রীর নিতম্ব হালকা নৌকো দিয়ে গড়া
ঝাড়বাতির আর পালক-তীরের নিতম্ব
আর শাদা ময়ূরপালকের খাদ
এক ইন্দ্রিয়াতীত পেণ্ডুলামের জন্য
আমার স্ত্রীর পাছা বালিপাথর আর অ্যাসবেসটসের
আমার স্ত্রীর পাছা রাজহাঁসের পেছনদিকের
আমার স্ত্রীর পাছা বসন্তঋতুর
রামধনুদেবীর যৌনতাসহ
আমার স্ত্রীর যৌনতা খনিখাদের আর প্ল্যাটিপ্লাসের
আমার স্ত্রীর যৌনতা সামুদ্রিকগাছের আর পুরোনোদিনের মিষ্টান্নের
আমার স্ত্রীর যৌনতা আয়নার
আমার স্ত্রীর চোখ অশ্রুজলে ভরা
বেগুনি বর্ম আর চৌম্বকীয় ছুঁচের চোখসহ
আমার স্ত্রীর চোখ নিষ্পাদপ প্রান্তরে গড়া
আমার স্ত্রীর চোখের জল খেয়ে কারাগারে মাতাল হবার
আমার স্ত্রীর চোখ সর্বদা কুঠারের তলায় কাঠ
আমার স্ত্রীর চোখ জলস্তরের বাতাস পৃথিবী আগুনের স্তরের   

সবসময়ে প্রথমবার

সবসময়ে প্রথমবার

দেখে তোমাকে চিনি বলে মনে হয় না       

তুমি একটা বাড়িতে ফেরো রাতের কোনো সময়ে   
আমার জানালার কোনাকুনি   
একটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক বাড়ি   
সেখানেই এক সেকেণ্ড থেকে পরের   
অপবিত্র অন্ধকারে   
আমি চাই আরেকবার মনোমুগ্ধকর চিড় ঘটুক
একটি ও একক চিড়
সামনাসামনি আর আমার হৃদয়ে
আমি তোমার যতো কাছে আসি
তা বাস্তবে
অজানা ঘরের দরোজায় চাবি ততোই গান গায়
যেখানে তুমি একা আমার সামনে দেখা দাও
সবার আগে তুমি সম্পূর্ণ ঔজ্বল্যে নিজেকে একাঙ্গীভূত করো
পর্দার ফাঁকি-দেয়া কোন
তা যুঁইফুলের বাগান আমি ভোরবেলা দেখেছিলুম
গ্রাসের কাছাকাছি এক রাস্তায়
তাদের মেয়েরা তেরছাভাবে তুলে নিচ্ছিল
তাদের পেছনে নগ্ন-করা গাছপালার অন্ধকার ডানা
তাদের সামনে টি-আঁকা চৌরাস্তার ঝলমলে আলো
পর্দা অদৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে
প্রবল এক উত্তেজনায় ফুলগুলো ঝাঁকবেঁধে ঢুকে আসে
ঘুম না আসা পর্যন্ত আবছা আলোয় দীর্ঘসময় তুমিই দৃঢ়মুঠোয়
তুমি যেমন তুমি হতে পারো
সেই একই শুধু এই যে হয়তো তোমার সঙ্গে আমার কখনও দেখা হবে না
তুমি ভান করো যেন আমি তোমায় দেখছি না
চমৎকারভাবে আমি নিশ্চিত নই যে তুমি জানো
তোমার আলস্য আমার চোখে জল আনে
তোমার প্রতিটি অঙ্গভঙ্গীকে ঘিরে থাকে এক ঝাঁক ব্যাখ্যা
এ হলো গাছের মধুর নির্যাস শিকার
ওখানে ডেকের ওপরে দোল খাবার চেয়ার রয়েছে
রয়েছে গাছের ডাল যা তোমাকে জঙ্গলে আঁচড়ে দিতে পারে
নত্রে ডাম দে লরে রাস্তায় এক দোকানের জানালায় আছে
দুটো সুন্দর ভাঁজ-করা পা লম্বা মোজায় ধরে রাখা
এক বিশাল শাদা পশুখাদ্য সবুজ গাছের কেন্দ্র থেকে উড়ছে
আইভিলতার ওপরে বেছানো রয়েছে রেশমের সিঁড়ি
ওখানে রয়েছে
গিরিচূড়ায় আমার হেলান দেবার মাধ্যমে
তোমার উপস্হিতি আর তোমার অনুপস্হিতির নিরাশাময় মিসেল
আমার রহস্য ভেদ করা
তোমাকে ভালোবাসার
সবসময়ে প্রথমবার
   

সকাল পাঁচটায় ঘটছিল

সকাল পাঁচটায় ঘটছিল

বাষ্পের জাআজ তার শেকল টেনে নিলো জানালাগুলো ভাঙার জন্য   

আর বাইরে
একতা জোনাকি
প্যারিস শহরকে পাতার মতন তুলে নিলো
তা ছিল দীর্ঘ চিৎকারের কাঁপুনি
কাছাকাছি প্রসূতি হাসপাতাল থেকে আসছিল চিৎকারটা
শেষ ঢালাইবিদ্যা অনুরক্ত
কিন্তু ওই যন্ত্রণার নিঃসারণে যে আনন্দই হোক বেরিয়ে পড়েছিল
আমার মনে হলো আমি অনেকক্ষণ যাবত ওপর থেকে পড়ছি
আমার মুঠোয় তবুও ছিল ঘাসের আঁটি
আর হঠা্ৎই ফুলেদের মর্মরধ্বনি আর বরফের ছুঁচ
ওই সবুজ ভ্রূ যা নক্ষত্রপতনের পেণ্ডুলাম
কোন গভীরতা থেকে ঘণ্টাটা সত্যিই উঠতে সফল হয়েছিল
বাতাসরুদ্ধ ঘণ্টা
যা কিচ্ছু নয় গত রাতে আমায় আগাম দেখতে সাহায্য করেছিল এই অবতলে নামবে
যে ঘণ্টার গায়ে লেখা ছিল
আনডিন জলপরী
তোমার বর্শামাথা ধনুরাশির প্যাডেলকে ওপরে তুলতে আসছে
তুমি অভ্রান্ত চিহ্ণ খোদাই করেছিলে
আমার সন্মোহনের
সেই ছোরা দিয়ে যার প্রবাল হাতল দুইমুখো হয়ে অনন্তে চলে যায়
যাতে তোমার রক্ত আর আমার
এক হয়ে যায়   

কম সময়

এটা বলার চেয়ে কম সময়, মরতে যতো সময় লাগে তার চেয়ে কম কান্না ;

আমি সবকিছুর হিসেব মিলিয়েছি, তুমি মিলিয়ে নাও ।

আমি পাথরের পাথরসুমারি করেছি. তারা আমার আঙুলের মতন অসংখ্য

আর কয়েকটা অন্যরকম; আমি চারাগাছদের কিছু পুস্তিকা বিলিয়েছি,

কিন্তু সবাই নিতে চায়নি । আমি এক সেকেণ্ডের জন্য সঙ্গীতের সঙ্গ দিয়েছি

আর এখন বুঝতে পারছি না আত্মহত্যা সম্পর্কে কী ভাববো,

কেননা যদি কখনও নিজের থেকে আলাদা হয়ে যাই,

বাইরে বেরোবার পথটা এই দিকে আর, আমি দুষ্টুমি করে, আগমন, যোগ করি,

পুনরাগমন অন্য দিকে রয়েছে ।

তুমি বুঝতে পারছো তোমায় এখনও কি করতে হবে।

সময়, দুঃখ, আমি তার যুক্তিপূর্ণ হিসেব রাখি নাস ;

আমি একা, জানালার বাইরে দেখি ; কোনো পথচারী নেই,

বা বলা যায়, কেউই যায় না ( সাবওয়ে দিয়ে ) ।

তুমি এই লোকটাকে চেনো না ? উনি শ্রীযুক্ত একই লোক। আমি কি শ্রীমতীর পরিচয় দেবো

শ্রীমতী? আর ওনাদের ছেলেমেয়ে । তাহলে আমি সিঁড়িতে পেছন ফিরছি,
আমার পাও পেছনে যায়, কিন্তু আমি
জানিনা ওরা কিসের ওপর পেছনে হাঁটে। আমি তালিকা দেখি ;
যে শহরগুলোয় গিয়েছি
তাদের জায়গায় লোকেদের নাম যারা আমার বেশ কাছাকাছি ছিল ।
আমি কি ‘অ’-এর কাছে যাবো, ‘আ’-এর কাছে ফিরবো,
‘ঙ’-এর কাছে রাস্তা বদলাবো ? হ্যাঁ, নিশ্চয়ই ‘ঙ’-এর কাছে বদলাবো,
যদি  অবসাদের সঙ্গে যোগাযোগ না ঘটে !
তাহলে আমরা পৌঁছেছি : অবসাদ, সুন্দর সমান্তরাল, আহ !
সমান্তরালগুলো কতো সুন্দর ঈশ্বরের
উল্লম্বতায় ।   

জীবন বেছে নিন
জীবন বেছে নিন ওই স্ফটিকদের তুলনায়  যাদের রঙের বিশুদ্ধতা সত্বেও গভীরতা নেই
এই সময় যা সদাসর্বদা লুকোনো তার বদলে এই ভয়ঙ্কর ঠাণ্ডা আগুনের গাড়ি বদলে নিন
এইসব বেশি পাকা পাথরের চেয়ে
এই হৃদয়কে তার বিপদরোধীর সঙ্গে বেছে নিন
ওই বকবকম ঝর্ণার বদলে
আর ওই শাদা কাপড় গান গাইছে হাওয়াব আর পৃথিবীতে একই সময়ে
ওই বিয়ের আশির্বাদে আমার কপাল গর্বের সঙ্গে এগিয়ে দেবার বদলে
                                              জীবন বেছে নিন

জীবন বেছে নিন তার ষড়যন্ত্রকারী চাদরসুদ্ধ
পলায়ন থেকে তার আঁচড়   
জীবন বেছে নিন   আমার কবরের ওই গোলাপ জানালা       
এখানকার জীবন কেবল এখানকার বেঁচে থাকা  
যেখানে একটা কন্ঠস্বর বলে ‘তুমি কি ওখানে রয়েছ’
আরেকটা জবাব দেয় ‘তুমি কি ওখানে রয়েছ’    
আমি মোটেই এখানে নেই হায়    
আর আমরা যা মেরে ফেলি তাদের নিয়ে ঠাট্টাইয়ার্কি করলেও                
                                            জীবন বেছে নিন

জীবন বেছে নিন জীবন বেছে নিন শ্রদ্ধেয় শৈশব
ফকিরের দেয়া ফিতে কাটা
পৃথিবীর একদিকে খেলার মাঠের মতন দেখায়
যদিও সূর্য কেবল এক জাহাজডুবি
যতোটা নারীর দেহের সঙ্গে তার মিল আছে
আপনি তার সম্পূর্ণ বক্রপথের দৈর্ঘের চিন্তায় স্বপ্ন দ্যাখেন
কিংবা চোখ বন্ধ করার সময়ে যে মনোরম ঝড় আপনার হাতের নাম রেখেছিল
                                             জীবন বেছে নিন

জীবন বেছে নিন বিশ্রামঘরের সঙ্গে
যখন আপনি জানেন  ঢুকতে দেয়া হবে না
স্বাস্হ্যের দোকনসেবার বদলে জীবন বেছে নিন
যেখানে উঞ্ছবৃত্তির লোকেরা আপনার সেবা করবে
জীবন বেছে নিন প্রতিকূল ও দীর্ঘ
যখন এখানে কম সহজ তাকের ওপরে বইগুলো আবার বন্ধ হবে
আর যখন ওখানে আবহাওয়া ভালোর চেয়ে ভালো হবে তা হবে মাঙনায় হ্যাঁ
                                            জীবন বেছে নিন

জীবন বেছে নিন অবজ্ঞার গহ্বর হিসাবে
যথেষ্ট সুন্দর মস্তিষ্ক নিয়ে
সেই নিখুঁত প্রতিষেধকের মতন যা তাকে ডাক দেয় আর ভয় পায়
ঈশ্বরের মুখাবয়বের প্রসাধনের মতন
জীবন যেন এক কুমারী পাসপোর্ট
অনেকটা পঁ-আ-মুসোঁ শহরের মতন
এবং যেহেতু সবকিছুই ইতিমধ্যে বলা হয়ে গেছে
                                         পরিবর্তে জীবন বেছে নিন

                                        

2 comments: